জেলার ঐতিহাসিক ও দর্শণীয় স্থানসমূহের বর্ণনা
ভাটি অঞ্চলের জেলা কিশোরগঞ্জ। মসনদ-ই-আলা বীর সেনানী ঈশা
খাঁর স্মৃতি বিজড়িত, নরসুন্দা নদী বিধৌত, হাওড় অধ্যুষিত এবং গ্রাম বাংলার শাশ্বত
ররুপ বৈচিত্র ও সোনালী ঐতিহ্যের ধারক কিশোরগঞ্জের রয়েছে একটি সমৃদ্ধ পুরাণ, কৃষ্টি
ও সংস্কৃতি। আবহমান ধরে গ্রাম বাংলার পল্লী মায়ের পীযুষধারা স্নাত এবং স্নেহসিক্ত
মাতৃক্রোড়ে লালিত এ সমৃদ্ধ জনপদ অনেকাংশেই বিস্মৃতির পথে। লোকচক্ষুর অন্তরালে
লুকায়িত সমৃদ্ধ কিশোরগঞ্জের পর্যটন ও ঐতিহ্য।
দর্শনীয় স্থানসমূহঃ
ঐতিহাসিক জঙ্গলবাড়ী: ঈশা খাঁর দ্বিতীয় রাজধানী।
ঐতিহাসিক এগারসিন্ধুর দূর্গ: ঈশা-খাঁর ঐতিহাসিক দূর্গ।
কবি চন্দ্রাবতীর শিবমন্দিরঃ বঙ্গের আদি মহিলা কবি চন্দ্রাবতীর স্মৃতিবিজড়িত
মন্দির।
দিল্লীর আখড়াঃ মোগল সম্রাট জাহাঙ্গীরের আমলে প্রতিষ্ঠিত দিল্লীর আখড়া।
শোলাকিয়া ঈদগাহঃ এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ ঈদগাহ।
পাগলা মসজিদঃ আধূনিক স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত ঐতিহাসিক ও দর্শনীয়
স্থাপনা।
শহীদ
সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু
হাওড় অঞ্চলঃ বিস্তীর্ণ বৈচিত্রের এক অপূর্ব লীলাভূমি।
সুকুমার রায়ের বাড়ীঃ বিখ্যাত ছড়াকার ও শিশু সাহিত্যিক সুকুমার রায়ের পৈত্রিক
বাড়ী।
জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজঃ দেশের সর্ববৃহৎ ও সর্বপ্রথম বেরসকারী মেডিকেল
কলেজ
দূর্জয় স্মৃতি ভাস্কর্যঃ জাতীয় উন্নতি, অগ্রগতি এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের
প্রতীয় ভাস্কর্য ।
গ্রামের নাম কাচারিপাড়া।
বাংলাদেশের অন্য গ্রামগুলোর মতো এ গ্রামটিও ছায়া সুনিবিড় সবুজে ঘেরা। তারপরও আর দশটা
গ্রাম থেকে এ গ্রামটি একটু ভিন্ন, গ্রামের রয়েছে আলাদা এক গৌরব। রয়েছে এক কালজয়ী ইতিহাস।
এ ইতিহাসের জীবন্ত সাক্ষী হয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে প্রায় চারশত বছরের পুরনো অষ্টকোণাকৃতির
৩২ ফুট উচু এক শিব মন্দির। বাংলা সাহিত্যের আদি মহিলা কবি মতান্তরে প্রথম মহিলা কবি
চন্দ্রাবতীর নিজস্ব উপাসনার জন্য ষোড়শ শতকের দ্বিতীয় ভাগে নির্মাণ করা হয় এ শিব মন্দির।
কবি চন্দ্রাবতীর নামানুসারে এ মন্দির চন্দ্রাবতীর শিব মন্দির নামে পরিচিত। ঈশা খার
স্মৃতি বিজড়িত জঙ্গলবাড়ি অঞ্চলের পাতুয়াইর এলাকায় বর্তমানে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজকাপন
ইউনিয়নের কাচারি পাড়া গ্রামে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে চন্দ্রাবতীর শিব মন্দির।